একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষ দিন আজ শুক্রবার সকাল থেকেই সরগরম নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়

0
41
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষ দিন আজ শুক্রবার সকাল থেকেই সরগরম নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষ দিন আজ শুক্রবার সকাল থেকেই সরগরম নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সম্পাদকদের সাথে বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা

শেষ দিনেও উৎসব মূখর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  সারাদেশের তৃনমূল পর্যায়ে এখনো নির্বাচনের কোন পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি, হামলা, নির্যাতন ও গায়েবী মামলা বন্ধ করে অংশগ্রহনমুলক নির্বাচনের জন্য লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপি কর্মীরা।

আজ সকালে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে এসে এসব অভিযোগ করেন বিএনপির  তৃনমূল কর্মীরা।

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্যদিনের মতো আজো মনোনয়ন পত্র বিক্রি করেছে বিএনপি। মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে এসে নেতাকর্মীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকা।

সকাল থেকেই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের সমর্থকদের নিয়ে দলীয় অফিসের সামনে জড়ো হতে থাকে। খন্ড ভন্ড মিছিলগুলো নানা সাজে সজ্জিত ছিলো। নেতাকর্মীরা ধানের শীষ মোড়ানো টুপি, ব্যাজ, জামাসহ দলীয় নানা সাজে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সংসদীয় এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল গুলো পথচারী ও সাধারণ মানুষের দৃষ্টি কাড়ে। দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, কর্মীদের মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতার, নির্যাতন বন্ধের দাবীতে এসময় কর্মীরা নানা স্লোগানে পুরো নয়াপল্টন এলাকা প্রকম্পিত করে রাখে।

মনোনয়ন সংগ্রহকারী নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী নজর কাড়ে যশোর ৪ বাগারপাড়া- অভয়নগর (বসুন্দিয়া) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার টিএইচ আইয়ুব ও তার সমর্থকরা। যশোর ৪ আসন তেকে মনোনয়রপত্র সংগ্রহ করে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘যশোর ৪ বাগারপাড়া- অভয়নগর (বসুন্দিয়া) এলাকার জনগনের সাথে আমার দীর্ঘদিনের আত্নার সম্পর্ক রয়েছে। দলের নেতাকর্মীদের সুখে দুখে কখনো তাদের ছেড়ে যায়নি। কর্মীদের দাবী এবং চাওয়া পূরণ করতেই আমি প্রার্থী হয়েছি। তবে তার আগে আমাদের দাবী হচ্ছে, বর্তমানে আমাদের কর্মীরা কেউ ঘরে থাকতে পারছে না, সবাই ঘরছাড়া। নির্যাতন এবং গায়েবী মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানী করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে। সারা দেশে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে  হবে।  আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের আগেই মুক্তি দিতে হবে।’

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  তিন শতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে লক্ষীপুর ১ থেকে কপিল উদ্দিন পাটোয়ারী, ঢাকা ৫ অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, ঢাকা ৪ অর্পনা রায় দাশ, নরসিংদী ৫ আশরাফ উদ্দিন বকুল, গাজীপুর ২ মঞ্জুরুল রনি, রংপুর ৪ এমদাদুল হক ভরসা, নাটোর ৩ ইউসূফ  আলী, ব্রাক্ষনবাড়িয়া ৩ মিনা বেগম মিনি, ঈশ্বরদী আটগড়িয়া ললিতা গুলশান মিতা, পাবনা ৪ হাবিবুর রহমান হাবিব, মুন্সিগঞ্জ ৩ রহিম শিকদার, বাগেরহাট ৪ শরিফ মোস্তফা নান্টু, নাটোর ১ দাউদার মাহমুদ।