ডেস্ক রিপোর্ট : সরকারি চাকরিতে কোটা প্রায় পুরোটাই উঠিয়ে দেয়ার পক্ষে এ বিষয়ে সরকারে গঠিত সংস্কার ও পর্যালোচনা কমিটি।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং কোটা সংস্কার ও পর্যালোচনা কমিটির প্রধান মোহাম্মদ শফিউল আলম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত। আমাদের কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হল— কোটা অলমোস্ট উঠিয়ে দেওয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া।’
তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের একটা রায় আছে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা প্রতিপালন ও সংরক্ষণ করতে হবে এবং যদি খালি থাকে খালি রাখতে হবে।’
এ বিষয়ে আদালতের মতামত চাওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার আদালতের কাছে মতামত চাইবে। আদালত যদি বাতিল করে দেন, তবে কোটা থাকবে না। আর যদি আদালত বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করতে হবে, তাহলে ওই অংশ বাদে বাকি সবটুকু উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।।’
কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি উঠিয়ে দিলে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হবে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কমিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীও অনেক এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সময় এসেছে।’
বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থায় মেধা কোটা ৪৫ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, নারী কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশ এবং ক্ষেত্রবিশেষে জেলা কোটা ১০ শতাংশ ও প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ রয়েছে।
এই কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিলের ঘোষণা দেন। তবে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ফের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এরপর গত ২ জুলাই কোটা ব্যবস্থা সংস্কার ও পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করা হয়।
এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখতে হাইকোর্টের রায় থাকায় কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করা সম্ভব নয়।
এরপর গত ১৯ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও পর্যালোচনার বিষয়ে সরকারের গঠিত কমিটির মেয়াদ ৯০ কার্যদিবস বাড়ানো হয়।