ডেস্ক : প্রায় দেড় যুগ পর ঠাকুরগাঁও এসে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দেওয়ার ওয়াদা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পুরো শহর ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে সাজানো হয়। শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বর সাজানো হয় মনোরম সাজে।
২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিলে তিনি সোনার বাংলা উপহার দেবেন।
ঠাকুরগাঁও বাসীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই। গত নির্বাচনে তিনটি আসনেই আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন। ২০১৮ এর ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। আপনারা ওয়াদা করেন, হাত তুলে ওয়াদা করেন নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।”
এ জনসভার শুরুতেই ৩৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৩৩টি প্রকল্পের ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার ক্ষমতায় এসেছে বলেই প্রতিটি গ্রামে গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এই উন্নয়নের ধারাবহিকতা বজায় রাখার জন্য আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা যেখানে হয়েছে, সেই সদর (ঠাকুরগাঁও-১) আসন থেকেই ২০০১ সালের নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কৃষি ও বিমান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বিমানমন্ত্রী যে ছিল, বিমানের কী উন্নয়নটা করেছে বলেন? বিমানের প্লেন ঝরঝর, চলে না। টাকাপয়সা সব লুটপাট। রাডারস্টেশন নষ্ট। সবকিছু ধ্বংস করে রেখে গেছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত আটটি উড়োজাহাজ কেনা হয়েছে এবং আরও দুটো আসছে।
“সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট- এটা বন্ধ করে দিয়েছিল বিএনপির আমলে। বিমানমন্ত্রী আপনাদের এখানকার, আর সৈয়দপুর এয়ারপোর্টটা বন্ধ করে দেয়। বিএনপি যখন ক্ষমতায়- ওই এয়ারপোর্ট বন্ধ। আমরা সরকারে এসেছি- সেই এয়ারপোর্ট আজকে চালু করে দিয়েছি, যেখান থেকে আজকে সব মানুষ যাতায়াত করতে পারছে।”