নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ও সর্বশেষ অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা।

0
48
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ও সর্বশেষ অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১১ মার্চ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে জিপিএ-৫ কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা। জিপিএ-৫ পাওয়াটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় অর্জন।

‘নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ও সর্বশেষ অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভার আয়োজন করা হয়।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এই সংগঠনটির উদ্যোগে নন-এমপিও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির (বেতন-ভাতা বাবদ মাসে সরকারি অনুদান) দাবিতে ওই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করেন। পরে ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব-১-এর দায়িত্বে থাকা সাজ্জাদুল হাসান (বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব) অনশনস্থলে গিয়ে ঘোষণা দেন, প্রধানমন্ত্রী নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর অনশন ভাঙেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

শিক্ষকদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নানা সমস্যা সমাজে থাকবে, এর মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আশা জাগিয়ে রাখা শিক্ষকদের কাজ। তবে শিক্ষকদেরও মর্যাদা দিতে হবে।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দেওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক তা দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় শিক্ষকসহ অন্য আলোচকেরা এমপিওভুক্তির আলোচনায় শিক্ষক প্রতিনিধিদের রাখার অনুরোধ জানান। তাঁরাও দ্রুত এমপিওভুক্ত করার দাবি জানান।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাহমুন্নবীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজ আলী, সাবেক আমলা সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক নেতা রণজিৎ কুমার সাহা, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায়।