পদ্মা সেতুর তৃতীয় স্প্যান খুঁটিতে বসানো হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে

0
47
পদ্মা সেতুর তৃতীয় স্প্যান খুঁটিতে বসানো হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে

পদ্মা সেতুর তৃতীয় স্প্যান খুঁটিতে বসানো হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে প্রকৌশলী ও শ্রমিকেরা ক্রেনের সাহায্যে স্প্যানটি ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটিতে স্থাপন করেন। এ নিয়ে সেতুর তিনটি স্প্যান বসানো হলো। ১৫০ মিটারের তিনটি স্প্যান যুক্ত হওয়ায় পদ্মা সেতুর ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো জাজিরা প্রান্তে।

গতকাল শনিবার দুপুরে ওই স্প্যান জাজিরা প্রান্তে এসে পৌঁছায়। আজ ভোর থেকে স্প্যানটি ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটিতে বসানোর কাজ শুরু করা হয়। সকাল সাড়ে নয়টায় খুঁটিতে বসানোর পর চলছে দ্বিতীয় স্প্যানের সঙ্গে নতুন স্প্যানটি জোড়া লাগানোর জন্য ওয়েল্ডিংয়ের কাজ।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী বলেন, ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তে আনা হয়েছে। গতকাল দুপুরে স্প্যানটি খুঁটির কাছে পৌঁছায়। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে স্প্যানটি খুঁটিতে তোলা হয়। সফলভাবে স্প্যানটি খুঁটিতে স্থাপন করা হয়েছে।

৪১টি স্প্যান জোড়া দিয়েই পদ্মা সেতু তৈরি হবে। গত বছর অক্টোবরে প্রথম ও গত ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছিল জাজিরা প্রান্তে।

প্রায় তিন হাজার টন ওজনের এবং ১৫০ মিটার লম্বা স্প্যানটি নিয়ে ভারী একটি ভাসমান ক্রেন গত শুক্রবার মাওয়া থেকে জাজিরার নাওডোবার দিকে রওনা দেয়। গতকাল দুপুরে জাজিরা প্রান্তের ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির কাছে পৌঁছায়।

স্প্যান বসানোর কাজে নিযুক্ত প্রকৌশলী ও শ্রমিকেরা গতকাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্প্যান বসানোর কার্যক্রম চালান।

এর আগে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম এবং ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটিতে দ্বিতীয় স্প্যান বসানো হয়েছে। ৩৭, ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির অবস্থান হচ্ছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকার পদ্মা নদীর দক্ষিণ তীরসংলগ্ন এলাকায়।

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নাওডোবায় গিয়ে দেখা যায়, ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির মাঝে স্প্যানটি নোঙর করে রাখা হয়েছিল। ভোর ছয়টা থেকে স্প্যানটি বসানোর কাজ শুরু করেন প্রকৌশলী ও শ্রমিকেরা। স্প্যান বসানোর দৃশ্য দেখতে পদ্মা নদীর তীর জাজিরার নাওডোবায় শত শত মানুষ ভিড় করে। তাদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গেছে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘গতকাল জেনেছি আজ স্প্যান বসানো হবে। তাই সকালেই পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় চলে এসেছি। নিজের চোখে সেতুর দৃশ্যমান হওয়া দৃশ্য দেখে ভালো লাগছে।’

পদ্মা সেতু প্রকল্পের একজন প্রকৌশলী বলেন, স্প্যানটি বসানোর পর চলছে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ। কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে ওয়েল্ডিং করতে। ওয়েল্ডিং করে আগে বসানো দ্বিতীয় স্প্যানের সঙ্গে তৃতীয় স্প্যান জোড়া লাগানো হবে।