শ্রমিকদের বিশাল অংশকে অভুক্ত রেখে শ্রমিকদের উন্নত জীবন ও টেকসই শিল্প গড়া সম্ভব নয়
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী ১৬০০০টাকা ঘোষণা কর
আজ ১লা মে-২০১৮ইং, মঙ্গলবার, সকাল ১০ ঘটিকায় গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের উদ্যোগে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে পল্টন মোড়, মুক্তাঙ্গনের সামনে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে কয়েক হাজার শ্রমিক জাতীয় ও লাল পতাকা প্রদর্শন করে।
সমাবেশে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমীন, কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, মিসেস সুইটি, যুগ্ম-সম্পাদক খাদিজা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দীন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কৈকেয়ী ব্যানার্জী, নারী বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা আফরোজ, কোষাধ্যক্ষ জান্নাতুন নাহার, প্রচার সম্পাদক মোঃ লিমন হাওলাদার, এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতা: আতিকুল ইসলাম মহসিন,লাইলী, মোঃ মিনারুল ইসলাম, রাবেয়া, মোঃ রুবেল, সুমী আক্তার, মোঃ হান্নান, তাহেরুল ইসলাম।
মহান মে দিবস উপলক্ষে বক্তারা বলেন, বর্তমান বাজার ধরের উর্ধ্বগতি, বাড়ী ভাড়া বৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দাম শ্রমিকদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। এ অবস্থায় শ্রমিকরা অমানবিক জীবনযাপন করছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে শ্রমিক অন্যতম অংশীদার। শ্রমিকদের হাত না লাগলে যেমনি উৎপাদন হয় না, শিল্প-ব্যবসা চলে না; তেমনি পারিবারিক, সামাজিক ক্ষেত্রেও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। গার্মেন্টস সেক্টরে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক জড়িত আছে। যার মধ্যে ৮৫% নারী শ্রমিক। এই সেক্টরের শ্রমিকদের শ্রমের ফলে অর্জিত হয় দেশের ৮১% বৈদেশিক মুদ্রা। শ্রমিকদের এই বিশাল অংশকে অভুক্ত রেখে শ্রমিকদের উন্নত জীবন ও টেকসই শিল্প গড়া সম্ভব নয়। অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী ১৬০০০টাকা দাবী করেন। বক্তারা আরও বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরের আউটসোর্সি নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ইপিজেড,নির্মান,কৃষি ও গৃহশ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত এবং আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ বাস্তবায়নের দাবী জানান।
এছাড়াও বক্তারা সরকার ও গার্মেন্টস মালিক প্রতিনিধি বিজিএমইএ’র নিকট বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এই বৃহৎ সেক্টরের শ্রমিকদের স্বার্থে ৬টি দাবী পেশ করেন
১. নিরাপদ কর্মস্থল ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত কর
২. ইপিজেডসহ সকল সেক্টরে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন চাই
৩. নারী শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত কর
৪. মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬মাস ঘোষণা ও নিরাপদ মাতৃত্বকেন্দ্র স্থাপন কর
৫. সেনাবাহিনী ও পুলিশের ন্যায় গার্মেন্টস সেক্টরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু কর
৬. গার্মেন্টস শ্রমিকদের আবাস ও পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত কর
সমাবেশ শেষে কয়েক হাজার শ্রমিকদের জাতীয় ও লাল পতাকার বর্ণাঢ্য একটি র্যালি মুক্তাঙ্গন, জিপিও পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড হয়ে দৈনিক বাংলা মোড় প্রদক্ষিন করে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে শেষ হয়।