সান্তা ফে’তে অনুষ্ঠিত হস্তশিল্পীদের সামগ্রী বাজারজাতকরণের ১৫শ আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ছবিতে তাঁর ডানে মেয়র অ্যালান ওয়েবার। এছাড়া ছবিতে প্রফেসর ইউনূসের বামে দেখা যাচ্ছে যথাক্রমে তাঁর তিন বছরের দৌহিত্র, তাঁর কন্যা এবং জামাতাকে – সকলেই ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী পোষাকে।

0
42
সান্তা ফে’তে অনুষ্ঠিত হস্তশিল্পীদের সামগ্রী বাজারজাতকরণের ১৫শ আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ছবিতে তাঁর ডানে মেয়র অ্যালান ওয়েবার। এছাড়া ছবিতে প্রফেসর ইউনূসের বামে দেখা যাচ্ছে যথাক্রমে তাঁর তিন বছরের দৌহিত্র, তাঁর কন্যা এবং জামাতাকে - সকলেই ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী পোষাকে।

 

সান্তা ফেতে অনুষ্ঠিত হস্তশিল্পীদের সামগ্রী বাজারজাতকরণের ১৫শ আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশে সাম্মানিক সভাপতি হিসেবে শিল্পীদের শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দিলেন প্রফেসর ইউনূস

১২ জুলাই ২০১৮ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের সান্তা ফে’তে অনুষ্ঠিত হস্তশিল্পীদের সামগ্রী বাজারজাতকরণের ১৫শ আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশে সাম্মানিক সভাপতি হিসেবে শিল্পীদের শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দিলেন নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ হস্তশিল্প বাজার হিসেবে খ্যাত ঐতিহাসিক সান্তা ফে প্লাজায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের ১৫শ বার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার জন্য প্রফেসর ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল। প্রতি বছর আয়োজিত এই হস্তশিল্প বাজারে বিশ্বের সকল প্রান্ত থেকে শিল্পী ও ক্রেতারা সমবেত হন। তিন দিন ধরে চলা এই বাজার সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি অনবদ্য প্লাটফর্ম ছাড়াও শিল্পীদের জন্য তাঁদের বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী প্রদর্শনী ও ক্রয়-বিক্রয়ের স্থান হিসেবেও কাজ করে।

সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রফেসর ইউনূসের আত্ম-উদ্যোগ ও ব্যবসায়িক উদ্যোগের ধারণায় উদ্বুদ্ধ হন হস্তশিল্পী ও এই শিল্পের সাথে যুক্ত অন্যরা। প্রফেসর ইউনূস প্রথাগত পুঁজিবাদ ও তা থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সমস্যার সমাধানে মানব চরিত্রের স্বার্থপর ও নিঃস্বার্থ উভয় দিকের সমন্বয়ে একটি নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর দর্শন শিল্পীদের কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “প্রকৃত মানুষ স্বার্থপরতা ও পরার্থপরতা উভয়েরই একটি সংমিশ্রণ। কিন্তু প্রচলিত অর্থনৈতিক তত্ত্ব পরার্থপরতাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।”

হস্তশিল্প উৎসবে বিভিন্ন শিল্পকর্মের এই উৎসবমুখর লেনদেন হস্তনির্মিত যে-কোনো শিল্পকর্মের জন্য নীতি-সমর্থন প্রদানে নোবেল বিজয়ীকে অনুপ্রাণিত করে, যেমন পৃথিবীজুড়ে সাধারণ নারী ও পুরুষদের সৃষ্টিশীলতার প্রতি সম্মানের নিদর্শনস্বরূপ এ ধরনের শিল্পকর্মের উপর আমদানী ও রপ্তানী শুল্ক প্রত্যাহার।

সান্তা ফে’র এই আন্তর্জাতিক হস্তশিল্প বাজারে ২০ হাজারেরও বেশী মানুষের সমাগম হয় এবং লেনদেন হয় ৩.৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশী। তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা এই আন্তর্জাতিক হস্তশিল্প বাজার ক্রমান্বয়ে একটি অলাভজনক সংস্থায় পরিণত হয় যা ৫৬টি দেশের ১৫০ জন খ্যাতিমান শিল্পীর অংশগ্রহণে বিশ্বজুড়ে হস্তশিল্পীদের ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী জেফ ‡¯œj এক বিবৃতিতে বলেন, পুঁজি ও বাজারের সহায়তায় বলীয়ান হয়ে সমাজ পরিবর্তনে হস্তশিল্পের যে অন্বেষা তা প্রফেসর ইউনূসের দর্শনেরই প্রতিফলন করে।

প্রফেসর ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানান সান্তা ফে’র মেয়র অ্যালান ওয়েবার, আন্তর্জাতিক হস্তশিল্প বাজারের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপার্সন ক্যাথরিন কিং কোলম্যান, এবং সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী জেফ ‡¯œj । তাঁর সফরে প্রফেসর ইউনূস তাঁর নতুন গ্রন্থ A World of Three Zeros”-এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেয়া ছাড়াও প্রফেসর ইউনূস আন্তর্জাতিক হস্তশিল্প বাজার আয়োজিত “ওয়ান ওয়ার্ল্ড ডিনার” এবং ঐ দিনই এর বিখ্যাত বাৎসরিক “ওপেনিং নাইট মার্কেট প্রিভিউ পার্টি”তে যোগ দেন। এছাড়াও প্রফেসর ইউনূস “গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর” ছাত্রবৃন্দ এবং নির্বাচিত শিল্পীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন, “ম্যান্ডেলা ইন্টারন্যাশনাল ম্যাগনেট স্কুল”-এর ছাত্রদের দ্বারা সজ্জিত “সিং ফর হোপ” পিয়ানো পরিদর্শন করেন এবং অতিথি শিল্পীদের “সিং ফর হোপ” পিয়ানোবাদন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।