সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবারও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের জয়

0
19
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবারও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের জয়

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবারও বিএনপিজামায়াত সমর্থিত প্যানেলের জয়

স্টাফ রিপোর্টার : সভাপতি, সম্পাদকসহ ১০ পদে জয় লাভ করে এবারো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব পেলো বিএনপি জামায়াত-সমর্থিত নীল প্যানেল। ১৪ টি পদের অন্য চারটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা। সভাপতি পদে নীল প্যানেলের এডভোকেট জয়নুল আবেদীন ২৩৬৯ ভোট পেয়ে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাদা প্যানেলের ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন। তিনি পেয়েছেন ২৩১৫ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ৪৪১ ভোট বেশি পেয়ে টানা ষষ্ঠ বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাদা প্যানেলের এস কে মোরসেদ। খোকনের ২৬১৬ ভোটের বিপরীতে মোরসেদ পোয়েছেন ২১৭৫ ভোট।
সহ-সভাপতির দুটি পদেই বিজয়ী হয়েছেন নীল প্যানেলের মো. গোলাম মোস্তফা ও ড.মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া। একই প্যানেল থেকে কোষাধ্যক্ষ পদে জয় পেয়েছেন নাসরিন আক্তার ও সহ-সম্পাদকের একটিতে জয় পেয়েছেন কাজী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
আর সাতটি সদস্য পদের মধ্যে নীল প্যানেলের প্রার্থী মাহফুজ বিন ইউসুফ, মো. আহসান উল্লাহ, মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মেহেদি হাসান নির্বাচিত হয়েছেন।
সাদা প্যানলের প্রার্থীদের মধ্যে মো. আবদুর রাজ্জাক সহসম্পাদকের দুটি পদের একটিতে বিজয়ী হয়েছেন। আর এ প্যানেলের প্রার্থী আশরাফুল হাদী, শাহানা পারভীন ও শেখ মো. মাজু মিয়া সদস্য পদে জয় পেয়েছেন।
গতবারের নির্বাচনে সমিতির ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সম্পাদকসহ আটটিতে জয়ী হয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল)। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল) পেয়েছিল ছয়টি পদ। এবার আরো দুটি কমল।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৮-১৯ সেশনের নির্বাচনে  ভোটগ্রহণ হয়। ১৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৩৩ জন।
ভোট গণনার পর নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির সমন্বয়ক এ ওয়াই মশিউজ্জামান গতকাল শুক্রবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, সমিতির ৬১৫২ জন ভোটারের মধ্যে ৪৮৬৫ জন  ভোট দিযেছেন। সাদা ও নীল প্যানেলের বাইরে এবার সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন ইউনুছ আলী আকন্দ ও শাহ খসরুজ্জামান। এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে মো. আব্দুল জব্বার ভুইয়া, সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আবুল বাসার ও সদস্য হিসেবে তাপস কুমার দাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।