ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তৃতীয়পক্ষ প্রবেশ করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছিল। দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে বিচার নিশ্চিত করা হবে।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিকটে আন্ডারপাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী তার অঙ্গীকার অনুযায়ী এই আন্ডারপাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। প্রধানমন্ত্রী এ ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপনের পর প্রকল্পের ওপর একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
ওভারটেকিংসহ ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ড্রাইভারদের লেন মেনে চলতে হবে। ওভারটেকিং বা কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা যাবে না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্যামেরা ফিট করে অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ বেসামরিক ও সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা।
গত ২৯ জুলাই জাবাল-ই-নূর পরিবহনের একটি বাস একই কোম্পানির আরেকটি বাসের সঙ্গে যাত্রী উঠা-নামা নিয়ে প্রতিযোগিতাকালে ধাক্কায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম এবং আবদুল করিম রাজিব ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রতি পরিবারকে ২০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র প্রদান করেন। এ ছাড়া তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পাঁচটি বাসও হস্তান্তর করেন।