দোষীদের শাস্তি, ২০ রমজানের আগে শ্রমিকদের বেতন বোনাস প্রদান এবং ১৬ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে রানা প্লাজার সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় (২৪ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার) রানা প্লাজার সামনে ভবন ধসের ৬১তম মসের কর্মসূচি হিসেবে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সোহেল রানাসহ সকল দোষীদের শাস্তি দাবির পাশাপাশি ঈদ-উল ফিতরের অন্তত ১০ দিন আগে অর্থাৎ ৬ জুন ২০১৮ এর মধ্যে সকল কারখানায় কমপক্ষে বেসিকের সমান বোনাস ও জুন মাসের অর্ধেক বেতন প্রদান এবং ১৬ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে অনুষ্ঠিত হয় এ মানববন্ধন। সাভার শাখার নেতা আলম মাতব্বরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, দপ্তর সম্পাদক মুছা কলিমুল্লাহ, সাভার শাখার সংগঠক সেলিনা আক্তার, নিহত শ্রমিক ফজলে রাব্বির মা রাহেলা বেগমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র রমজান মাস চলছে। ঈদের ছুটির আগে খাটিয়ে নেওয়ার জন্য ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা ৯টা পর্যন্ত কাজ করানো হচ্ছে। শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটিও জুটছে না জেনারেল বা বাধ্যতামূলক ওভারটাইমের চাপে। এত চাপ সহ্য করে শ্রমিকরা কাজ করছেন, কিন্তু এ বছর ঈদের আগে কতগুলো কারখানার শ্রমিকদের রাজপথে নামতে হবে, বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারছে না। বক্তারা সরকার ও মালিক নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই পরিস্থিতি কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ছুটির আগের দিন নয় অন্তত ১০ দিন আগে অর্থাৎ ৫ বা ৬ জুনের মধ্যেই বোনাস দিতে হবে এবং জুন মাসের অর্ধেক বেতন দিতে হবে। যাতে শ্রমিকরা তাদের প্রয়োজনীয় কেনা-কাটা আগে থেকেই করতে পারেন।
বক্তারা আরো বলেন, মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। একটি বৈঠক করার পরেই ঝুলে গেছে এই বোর্ডের কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত মালিক বা শ্রমিক পক্ষের প্রস্তাবনাই উত্থাপন করা হয় নাই। দীর্ঘসূত্রিতার ভেতর দিয়ে সরকার তার নির্বাচনী ফায়দা লুটার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের প্রাণের দাবি ১৬ হাজার টাকা মজুরি। দেশের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার এবং শিল্পের উৎপাদনশীলতার বিকাশের স্বার্থেই শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করতে হবে। অবিলম্বে মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম সচল করে দ্রæততার সাথে ১৬ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
আজ রানা প্লাজা ধসের ৬১তম মাস অতিক্রান্ত হচ্ছে। নিহত শ্রমিকদের স্বজনেরা গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির ব্যানারে দাঁড়িয়ে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে, সোহেল রানাসহ দোষীদের বিচারের দাবিতে। কিন্ত আজ পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়াই শুরু হলো না। নেতৃবৃন্দ বলেন, রানা প্লাজায় শ্রমিক হত্যার বিচার যদি না হয়, সহস্র শ্রমিক হত্যার দায়ীরা যদি বিচারের মুখোমুখি না হয়, তাহলে বাংলাদেশে বিচার বিভাগ ভেঙে পরবে। এ বিচার হতেই হবে। শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন বক্তারা।
দোষীদের শাস্তি, ২০ রমজানের আগে শ্রমিকদের বেতন বোনাস প্রদান এবং ১৬ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে
রানা প্লাজার সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় (২৪ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার) রানা প্লাজার সামনে ভবন ধসের ৬১তম মসের কর্মসূচি হিসেবে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সোহেল রানাসহ সকল দোষীদের শাস্তি দাবির পাশাপাশি ঈদ-উল ফিতরের অন্তত ১০ দিন আগে অর্থাৎ ৬ জুন ২০১৮ এর মধ্যে সকল কারখানায় কমপক্ষে বেসিকের সমান বোনাস ও জুন মাসের অর্ধেক বেতন প্রদান এবং ১৬ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে অনুষ্ঠিত হয় এ মানববন্ধন। সাভার শাখার নেতা আলম মাতব্বরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, দপ্তর সম্পাদক মুছা কলিমুল্লাহ, সাভার শাখার সংগঠক সেলিনা আক্তার, নিহত শ্রমিক ফজলে রাব্বির মা রাহেলা বেগমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র রমজান মাস চলছে। ঈদের ছুটির আগে খাটিয়ে নেওয়ার জন্য ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা ৯টা পর্যন্ত কাজ করানো হচ্ছে। শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটিও জুটছে না জেনারেল বা বাধ্যতামূলক ওভারটাইমের চাপে। এত চাপ সহ্য করে শ্রমিকরা কাজ করছেন, কিন্তু এ বছর ঈদের আগে কতগুলো কারখানার শ্রমিকদের রাজপথে নামতে হবে, বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারছে না। বক্তারা সরকার ও মালিক নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই পরিস্থিতি কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ছুটির আগের দিন নয় অন্তত ১০ দিন আগে অর্থাৎ ৫ বা ৬ জুনের মধ্যেই বোনাস দিতে হবে এবং জুন মাসের অর্ধেক বেতন দিতে হবে। যাতে শ্রমিকরা তাদের প্রয়োজনীয় কেনা-কাটা আগে থেকেই করতে পারেন।
বক্তারা আরো বলেন, মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। একটি বৈঠক করার পরেই ঝুলে গেছে এই বোর্ডের কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত মালিক বা শ্রমিক পক্ষের প্রস্তাবনাই উত্থাপন করা হয় নাই। দীর্ঘসূত্রিতার ভেতর দিয়ে সরকার তার নির্বাচনী ফায়দা লুটার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের প্রাণের দাবি ১৬ হাজার টাকা মজুরি। দেশের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার এবং শিল্পের উৎপাদনশীলতার বিকাশের স্বার্থেই শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করতে হবে। অবিলম্বে মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম সচল করে দ্রæততার সাথে ১৬ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
আজ রানা প্লাজা ধসের ৬১তম মাস অতিক্রান্ত হচ্ছে। নিহত শ্রমিকদের স্বজনেরা গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির ব্যানারে দাঁড়িয়ে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে, সোহেল রানাসহ দোষীদের বিচারের দাবিতে। কিন্ত আজ পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়াই শুরু হলো না। নেতৃবৃন্দ বলেন, রানা প্লাজায় শ্রমিক হত্যার বিচার যদি না হয়, সহস্র শ্রমিক হত্যার দায়ীরা যদি বিচারের মুখোমুখি না হয়, তাহলে বাংলাদেশে বিচার বিভাগ ভেঙে পরবে। এ বিচার হতেই হবে। শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন বক্তারা।