ক্যামেরার চোখ ডেস্ক : পা ঘামা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। তবে অতিরিক্ত ঘামলে সেটাকে হাইপারহাইড্রোসিস বলে।এটা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যারও ইঙ্গিত দেয়।
আন্তর্জাতিক হাইপারহাইড্রোসিস সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী,সারা বিশ্বে অন্তত ৫ শতাংশ মানুষ হাইপারহাইড্রোসিস সমস্যায় আক্রান্ত। তাদের ঘামগ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম বের হয় যা তাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।আর অতিরিক্ত ঘামলে দুর্গন্ধও দেখা দেয়।
যারা অতিরিক্ত পা ঘামা সমস্যায় ভূগছেন সেটা কমাতে তারা কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
১. যারা নিয়মিত মোজা ব্যবহার করেন তারা ঋতু অনুযায়ী সেটা পরিবর্তন করতে পারেন। যেমন-গরমের দিনগুলোতে কটনের মোজা ব্যবহার করুন। আর শীতের সময়ে উলের।নাইলিনের মোজা ব্যবহার করার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। কারণ এটা ঘামে আরও বেশি ভিজে থাকে।
২. বাজারে আজকাল অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার পাওয়া যায়। এটা পা শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে।
৩.যাদের পা ঘামার সমস্যা রয়েছে দেখা যায় শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে তাদের পা সবচেয়ে বেশি ঘামে। এটা রোধে বিশেষ ধরনের ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এটা কিছুক্ষণের জন্য ঘামগ্রন্থি বন্ধ রাখতে সাহায্য করে।ভালো ফল পেতে এটা রাতে লাগাতে পারেন। আর সকালে উঠে পা ধুয়ে ফেলুন।এতে পা ঘামা কিছুটা হলেও কমবে।
৪.প্লাষ্টিকের পরিবর্তে লেদারের জুতা ব্যবহার করুন।এছাড়া সঠিক সাইজের জুতা ব্যবহার করা উচিত। কারণ জুতা টাইট হলেও পা ঘামতে পারে।
৫.দিনে একবার হলেও পা ভালোভাবে পানিতে ডুবিয়ে সাবান ঘষে পরিষ্কার করা উচিত।পানির সঙ্গে চায়ের পাতা অথবা ইউকেলিপটাস পাতা দিতে পারেন।
৬. গরম পানিতে দুইটি টি ব্যাগ দিয়ে পা কয়েক মিনিট ভিজিয়ে রাখলেও পায়ের গন্ধ দূর হয়, পা ঘামা কমে।
৭. জুতা পরিবর্তন করে পড়ুন।বাড়িতে ফিরে আগের দিনে ব্যবহার করা জুতাটা রোদে দিন। তাহলে ঘামের দুর্গন্ধও কমে আসবে।
সূত্র : মেডিকেল নিউজ টুডে