টি-টোয়েন্টি সিরিজও টাইগারদের

0
28

ক্রীড়া ডেস্ক : ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিলো বাংলাদেশ। ক্রিকেটের ক্ষুদ্র এই সংস্করণে অপেক্ষাকৃত দুর্বল সাকিব-তামিমরা এবার দাপটের সঙ্গেই উড়িয়ে দিলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ক্যারিবিয়ানদের। সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৯ রানের জয় পেয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। এর ফলে ছয় বছর পর বিদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা।

সিরিজের শেষ ম্যাচ ক্যারিয়ানদের ১৮৫ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারী বাংলাদেশ। জবাবে ১৭ ওভার ১ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। পরে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের দুইটি ম্যাচে জয় নিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় সফরকারীরা। এর আগে একদিনের সিরিজেও জয় ছিনিয়ে মাশরাফি-তামিমরা। বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। আগের সিরিজ জয়টি ছিল ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডে।

৩২ বলে ৬১ রানের নান্দনিক এক ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন লিটন দাস। অন্যদিকে পুরো সিরিজে ব্যাটে বলে অনন্য পারফরমেন্সের জন্য ম্যাচ অফ দ্যা সিরিজ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাদের এই জয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রথম ম্যাচটি হেরেছিল টাইগাররা। পরের ম্যাচে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও বোলারদের সমীহ জাগানিয়া বোলিং বাংলাদেশকে ১২ রানের জয় এনে দেয়। শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ। এর আগে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয় করে টাইগাররা।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ফ্লেচারকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৭ বলে ৬ রান করে ফিরে যান তিনি। এর পর দ্রুত ফিরে যান চারডিক ওয়ালটন। নাজমুল হাসান অপুর অসমাপ্ত ওভার শেষ করতে এসে সৌম্য সরকারের বলে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ১৯ বলে ১৯ রান করা ওয়ালটন। মারলন স্যামুয়েলসকে বোল্ড করেন বাংলাদেশ দলের ক্যাপটেন সাকিব আল হাসান। আউট হওয়ার আগে ৪ বলে মাত্র ২ রান সংগ্রহ করেন। বিপদজনক হয়ে ওঠা দিনেশ রামদিন বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ১৮ বলে ২১ রান করেন।

বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ও শেষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন দুই ওপেনার তামিম ও লিটন। ৪ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৫৬ রান সংগ্রহ করে। ১৩ বলে ২১ রান তুলে কার্লোস ব্রাফেটের বলে বিদায় নেন তামিম ইকবাল। আজও ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য সরকার! ৪ বলে ৫ রান করে কেমো পলের স্লোয়ার ডেলিভারিতে লং অনে ক্যাচ দেন সৌম্য।

কার্লোস ব্রাফেটের সিমআপ ডেলিভারিতে উইকেট থেকে সরে খেলতে গিয়ে রামদিনের হাতে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম। ১৪ বলে ১২ রান করেন মুশফিক। কেসরিক উইলিয়ামসের স্লোয়ার ডেলিভারি ঠিকমতো পিক করতে পারেননি লিটন। হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া লিটন দাস মিড অফে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৩২ বলে ৬১ রান করেন লিটন।

লিটন কুমার দাস আউটের পর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব। দুজনের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারে এ জুটি ভাঙেন কেমো পল। ডানহাতি এ পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন সাকিব। ২২ বলে ২৪ রান করেন সাকিব। ২০ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে সঙ্গে দেন আরিফুল। আরিফুল ১৬ বলে করেন ১৮ রান।