সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমছে না

0
19

ডেস্ক রিপোর্ট : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারিশ ও ব্যাংকগুলোর দাবির পরেও সরকার সাধারণ সঞ্চয়কারীদের স্বার্থে এখনই সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমাচ্ছে না। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হবে না।

মঙ্গলবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সঞ্চয়পত্র নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিএজি মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শামসুন্নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিন আগে ব্যাংকের আমানত ও ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ঠিক করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সঞ্চয়পত্রের সুদহার পর্যালোচনা করা হলো। কারণ সঞ্চয়পত্রের সুদহার ব্যাংকের আমানতের সুদহারে প্রভাব ফেলে। কিন্তু সঞ্চয়পত্র নিয়ে সরকারের একটা নীতি আছে। তাহলো সঞ্চয়পত্রকে সামাজিক নিরাপত্তার অংশ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। যে কারণে হঠাৎ করেই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। তবে সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাজারের সুদহারের চেয়ে খুব বেশি রাখা যাবে না। এক থেকে দেড় শতাংশ পর্যন্ত বেশি রাখা যেতে পারে। বর্তমানে এরচেয়ে বেশি রয়েছে। এটা কোনোভাবেই বাজার সুদহার থেকে ব্যাপক পার্থক্য হতে পারে না।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রের সুদহারে কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। এখন কিছু কাজ করে রাখা হচ্ছে, পরের সরকার তা বাস্তবায়ন করবে। তার মতে, আওয়ামী লীগই আবার সরকারে আসবে। কারণ আওয়ামী লীগ গত ১০ বছর ধরে দেশের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে। জনগণের উন্নয়ন হয়েছে। ফলে জনগণ আওয়ামী লীগকেই চাইবে। আর যদি বিরোধী কোনো দল আসে তাদের জন্য অনেক উপকার হবে, কারণ আমরা কাজ এগিয়ে রাখছি।

মুহিত বলেন, উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি গবেষণা করে বর্তমানে অর্থনীতিতে সঞ্চয়পত্রের প্রভাব কী তা দেখবে। পাশাপাশি বর্তমানে যত ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে, সব থাকা দরকার কি-না, কোন ধরনের সঞ্চয়পত্রে মানুষের চাহিদা বেশি, কোন ধরনের সঞ্চয়পত্র থেকে প্রকৃত সামাজিক নিরাপত্তার কাজ হচ্ছে, এর সুদহার কেমন হওয়া উচিত, বিনিয়োগ সীমা পরিবর্তনের দরকার আছে কি-না ইত্যাদি ঠিক করবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন দেবে।