ডেস্ক রিপোর্ট : গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আট আসামির বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জানি করেছে আদালত।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান বুধবার এই আদেশ দেন।
দুই পলাতক আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনকে গ্রেপ্তার করা গেল কি না-তা জানিয়ে আগামী ১৬ অগাস্ট পুলিশকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন তিনি।
পাশাপাশি অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশ অনুযায়ী এ মামলায় দুই বছর ধরে কারাবন্দি নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজাউল করিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক।
হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে পাঁচজন ওই দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হন। তারা হলেন-রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
এছাড়া আরও আটজন পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন। তারা হলেন- তামীম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
জীবিত বাকি আটজনের মধ্যে ছয়জন গ্রেফতারের পর কারাগারে রয়েছে। তারা হলেন- রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর ও রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা। বাকি দুইজন পলাতক। ওই ঘটনায় পাওয়া ৭৫টি আলামতও আদালতে পাঠানো হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ সময় তারা রেস্তোরাটিতে থাকা দেশি-বিদেশি অতিথিদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। ঘটনার পরপরই অভিযান চালাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ রেস্তোরাটির ভেতর থেকে ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।