খালেদা জিয়াকে ২৮ মার্চ কোন আদালতে হাজির করা হবে?
একাধিক আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ২৮ মার্চ আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। কুমিল্লার আদালত ও ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ওই দিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে এরই মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, খালেদা জিয়াকে কোথায় নেওয়া হবে? আদালতের পদমর্যাদার কথা বিবেচনা করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে তাঁকে আগে নিতে হবে বলে মনে করেন আইনজীবীরা। তবে আদৌ তাঁকে কোনো আদালতে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
আইনজ্ঞরা বলছেন, একই দিনে তাঁকে দুটি আদালতে হাজির করা সম্ভব নয়। কারণ দুটি আদালতের দূরত্ব অনেক। এ কারণে একটিমাত্র আদালতে তাঁকে হাজির করা হতে পারে। তবে কোথায় হাজির করা হবে, তা কারা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, সংগত কারণেই একই দিন কুমিল্লা ও ঢাকার আদালতে খালেদা জিয়াকে হাজির করা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে নিরাপত্তা ও আদালতের দূরত্বের বিষয়টি রয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকায় পাশাপাশি আদালত হলে হয়তো একই দিনে দুই আদালতে হাজির করা যেত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে ঢাকায় কারাবন্দি খালেদা জিয়া। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি নাজিমুদ্দীন রোডে পুরনো কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তবে এ মামলায় গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট তাঁকে চার মাসের জামিন দিয়েছেন। কিন্তু গত বুধবার আপিল বিভাগ এ জামিন আগামী রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার দিনই কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নাশকতার পৃথক মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২৮ মার্চ হাজির করার নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় ওই আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে ২৮ মার্চ হাজির করার আদেশ বহাল রাখেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় আগামী ২৮ ও ২৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে খালেদা জিয়াকে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তর সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এ মামলার বিচার চলছে। এ আদালতেই খালেদা জিয়াকে হাজির করতে বলা হয়েছে।
একই দিন দুটি আদালতে হাজিরের নির্দেশ থাকায় কোন আদালতে খালেদা জিয়াকে নেওয়া হবে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইনজীবীরা বলছেন, ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে কারা কর্তৃপক্ষকে। কারণ কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চেয়ে ঊর্ধ্বতন আদালত হলো ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।